আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাড়িতে তখন সে আর দাদা। পাশের ঘরে কাজ করছিলেন বাবা। কাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন মা। হঠাৎ ঘরে ঢুকে দাদাকে বেরিয়ে যেতে বলেন বাবা। তারপর দরজা বন্ধ করে চলল চরম যৌন অত্যাচার। যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে বারান্দায় ছুটে গিয়েছিল নাবালিকা। সেখান থেকে টেনে হিঁচড়ে ঘরে এনে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বাবা। চিৎকার শুনে দাদা দরজা ভাঙার চেষ্টা করেছিল। তার জেরে কোনও মতে বেঁচে গেছে সে। থানায় গিয়ে বাবার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করল নাবালিকা। যা শুনে রীতিমতো আঁতকে উঠেছে পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবের লুধিয়ানায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ ফেব্রুয়ারি। ফাঁকা বাড়িতে স্ত্রীর অবর্তমানে নাবালিকা কন্যাসন্তানকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন ৪০ বছর বয়সি এক যুবক। ধর্ষণের পর নিজের মেয়ে ও ছেলেকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য হুমকিও দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও চেঁচিয়ে লোক জড়ো করার চেষ্টা করেছিল তাঁর ছেলে। ভয় পেয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান অভিযুক্ত বাবা।
এরপর বাড়িতে পৌঁছে নাবালিকাকে হাউমাউ করে কাঁদতে দেখেন তার মা। ঘটনার বিবরণ শুনে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে থানায় যান তিনি। স্বামীর বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে যুবকের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে সে।
